বন্ধ মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার: বিমানবন্দরে কর্মীদের ভিড়
Online Desk | PNN
৩১ মে, ২০২৪, ৩:০৬ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশের জন্য আবারও বন্ধ হয়ে গেছে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের চতুর্থ বৃহত্তম মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। করোনা অতিমারির পর পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে মালয়েশিয়ার এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।
গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকায় মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম জানান, মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সর্বশেষ সময় ৩১ মে। এর পরে কাজের অনুমতি থাকলেও কোনো শ্রমিক প্রবেশ করতে পারবেন না।
এদিকে ভিসা পাওয়ার পরেও ফ্লাইট জটিলতায় অনিশ্চয়তায় পড়েছেন হাজারো মানুষ। উৎকণ্ঠায় শেষ মুহূর্তে ঢাকা ও কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে অভিবাসী কর্মীদের ভিড় দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক রুসলিন জুসোহ বলেছেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে প্রতিদিন ৫০০ থেকে এক হাজার বিদেশি শ্রমিকদের আসে।
“তবে গত ২২ মে থেকে এই সংখ্যা বেড়ে প্রতিদিন অন্তত আড়াই হাজার এবং ২৭ মে থেকে প্রতিদিন চার থেকে সাড়ে চার হাজার জনে দাঁড়িয়েছে। ইমিগ্রেশন বিভাগ আশা করছে যে, এয়ারলাইনগুলো চাহিদা পূরণে ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বাড়াবে,” যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর তথ্য মতে, শুধু ২০২৩ সালেই সাড়ে তিন লাখের বেশি শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছে মালয়েশিয়া।
সম্প্রতি, মালয়েশিয়া ২০২৫ সাল পর্যন্ত মোট শ্রমিকের ১৫ শতাংশ বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার। অভিবাসন বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ২০ লাখ বিদেশি শ্রমিক কাজ করছেন।