ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদন পদ্ধতি জেনে নিন
| PNN
৯ জুন, ২০২৪, ১২:০১ অপরাহ্ণ
পশ্চিম ইউরোপের শিল্প-সাহিত্য-ঐতিহ্যসমৃদ্ধ এবং বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো জাতি-রাষ্ট্রের একটি হলো ফ্রান্স। ফ্রান্সের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি এবং শিক্ষা ব্যবস্থা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক সমৃদ্ধ। উন্নত জীবনযাত্রা, শক্তিশালী অর্থনীতি ও মানসম্মত সময়োপযোগী শিক্ষার পরিবেশ থাকায় বর্তমানে অনেকেই ফ্রান্সে পাড়ি জমাচ্ছে। এদের মধ্যে কেউ উচ্চশিক্ষার জন্য, কেউ কাজের জন্য আবার কেউবা ভ্রমণের জন্য। আজ আমরা ফ্রান্সের ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানবো। বাংলাদেশ থেকে ফ্রান্সের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে বেশকিছু ধাপ পার করতে হয়। আর প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ধরনের নথিপত্রের।
ভিসার ধরন নির্ধারণ
আপনি কোন ক্যাটাগরির ভিসার জন্য আবেদন করতে চান প্রথমেই সেটি নির্বাচন করতে হবে।
* স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে ইউনিভার্সিটির অফার লেটার থাকতে হবে। ভিসার জন্য প্রথমে এম্বাসীতে ই-মেইল করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে। সকল কাগজপত্র সহকারে এম্বাসীতে উপস্থিত হলে ওই দিনই দ্বিতীয়বারের জন্য আরেকটি এপন্টমেন্ট দেওয়া হবে। ভিসার সকল কাগজপত্র জমা দেবার পর আপনাকে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে ভিসা পাবার জন্য।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
ক্যাটাগরি অনুযায়ী আপনাকে নথিপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
স্টুডেন্ট ভিসার জন্য
* পাসপোর্ট। (অবশ্যই ৬ মাসের অধিক মেয়াদ থাকতে হবে)।
* জন্ম নিবন্ধনের কপি ।
* জীবনবৃত্তান্ত।
* সকল একাডেমিক ডকুমেন্টস।
* ইউনিভার্সিটির অফার লেটার।
* আইইএলটিএস/টোয়েফল এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষতার সনদ
* অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ও পাসপোর্ট সাইজের ২ কপি।
* ফ্লাইট বুকিং টিকেট (এটা করতে কোনো টাকা লাগে না, শুধু বুকিং দিবেন)।
* ভিসা অ্যাপ্লিকেশান ফি বা স্কলারশিপ লেটার (যদি পেয়ে থাকেন। স্কলারশিপ প্রাপ্তদের ফি লাগে না)।
* হেলথ ইনস্যুরেন্স (যতদিন এর কোর্স ততদিনের করতে হবে)।
* ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সল্ভেন্সি (যিনি আপনার সকল খরচ বহন করবেন তার অর্থাৎ স্পন্সরের)।
* হাউজিং সার্টিফিকেট/ ডকুমেন্ট (যদি ফ্রান্সে কোন আত্মীয়ের বাসাকে হাউজিং এর জন্য দেন তাহলে ঐ শহরের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত উনার/উনাদের বাসার সকল কন্ট্রাক্ট পেপার দেখাতে হবে)।
* স্পন্সরের জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট কপি, যা দ্বারা আপনার সঙ্গে তার সম্পর্ক কি টিউশন ফি পরিশোধের কপি/প্রমাণপত্র।
* ট্রেনিং সার্টিফিকেট। (প্রয়োজন সাপেক্ষে )
* কাজের অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট। (প্রয়োজন সাপেক্ষে )
ভিসা প্রসেসিং
সাধারণত ১৪ থেকে ২১ কার্যদিবসের মধ্যেই ফ্রান্সের ভিসা আবেদনের ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরোও বেশি সময় লাগতে পারে।
খরচ কেমন?
ফ্রান্সে যেতে কত টাকা লাগবে সেটা নির্ভর করে ভিসা ক্যাটাগরি, ভিসার মেয়াদের উপর। সাধারণত ফ্রান্স স্টুডেন্ট ভিসা, ভ্রমণ ভিসা, কাজের ভিসা এবং টুরিস্ট ভিসা প্রদান করে থাকে। ফ্রান্স ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ থেকে গেলে খরচ পড়বে প্রায় সর্বনিম্ন ৪ লক্ষ টাকা। তবে স্টুডেন্ট এবং টুরিস্ট ভিসায় গেলে খরচ আরো কম হয়ে থাকে। টুরিস্ট ভিসায় আনুমানিক খরচ প্রায় ৩ লক্ষ টাকা এবং স্টুডেন্ট ভিসায় আনুমানিক প্রায় ৩ থেকে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হবে।