১৮ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই রজব, ১৪৪৬ হিজরি

ফুল আর সবুজে ঢাকা মোহনীয় এক গ্রাম


Online Desk | PNN

২৯ মে, ২০২৩, ৯:১২ পূর্বাহ্ণ

ভারতের দার্জিলিং প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে পছন্দের এক জায়গা। ভারতীয়দের পাশাপাশি প্রতি বছর লাখ লাখ বাংলাদেশি সেখানে ভিড় করেন। তবে পর্যটকদের চাপে বেশিরভাগ সময়ই বিভিন্ন স্থান থাকে পরিপূর্ণ। এজন্য সেখানে গেলে আপনি ঘুরে দেখতে পারেন মোহনীয় ও কার্যত ভিড়হীন গ্রাম বাগোরা।

কার্শিয়াংয়ের ছোট্ট গ্রাম বাগোরা। ৭১৫০ ফুট উচ্চতায় ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। সবুজে সবুজ। ফুলে ঢাকা পথ। ভাগ্য ভালো থাকলে হোমস্টের জানালা খুললেই দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা। ভোরবেলা চলে যান সূর্যোদয় দেখতে। সূর্যের প্রথম আলো যখন ছড়িয়ে পড়ে বাগোরার উপর সে এক স্বর্গীয় অনুভূতি। গরমকাল বলে আলাদা কিছু নেই। অত্যন্ত মনোরম আবহাওয়া। চারপাশে নাম না জানা পাখির ডাক মন ভালো করে দেয়।

গ্রামের মধ্য়ে পায়ে চলা রাস্তা রয়েছে। সেই রাস্তা ধরে হেঁটে আসুন। দুপাশে লম্বা গাছের সারি, কুয়াশায় মোড়া চারদিক। এখানে সরকারি একটি বন বাংলো আছে। সেখানে রাতে থাকার ব্যবস্থা করতে পারলে আরও ভালো। একাধিক হোমস্টেও গড়ে উঠছে। তবে আগাম বুক করে তারপর যেতে হবে।

এখান থেকে কাছেপিঠে একাধিক জায়গায় যেতে পারেন আপনি। এখান থেকে প্রায় ৪ কিমি দূরে রয়েছে চিমনি গ্রাম। ইংরেজ আমলের কিছু নিদর্শন এখনও রয়েছে এই গ্রামে।  ১২ কিমি দূরে রয়েছে মংপু। ৮ কিমি দূরে রয়েছে চটকপুর। সবগুলোই অপরূপ সুন্দর। কার্শিয়াং থেকে প্রায় ১৭ কিমি দূরে বাগোরা গ্রাম।

বাগোরার কাছ দিয়েই বয়ে গেছে তিস্তা নদী। আর আছে কমলালেবুর বাগান। অনেকে কমলালেবুর বাগান দেখার জন্য সিটং যান। তবে আপনি এখানে এসেও দেখতে পাবেন সেই কমলার বাগান।

যারা ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই গ্রাম একেবারে আদর্শ জায়গা। সব মিলিয়ে দিন তিনেক ঘুরলে শরীর মন দুটোই রিচার্জ হয়ে যাবে।

এনজেপি, বাগডোগরা কিংবা দার্জিলিং মোড় থেকে সরাসরি গাড়ি পাওয়া যায়। তাতে করেই আসতে পারেন সিটং। অনেকে আবার কার্শিয়াং এসে সেখান থেকে বাগোরা যাওয়া যায়।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস