প্রথমবারের মতো চীনে চিকিৎসা নিতে গেলেন বাংলাদেশি ১৪ রোগী
| PNN
১০ মার্চ, ২০২৫, ৫:১৬ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো চীনের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছেন ১৪ জন রোগী। এর মাধ্যমে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য চীনে চিকিৎসার নতুন দুয়ার খুলেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরের দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিআইপি গেট দিয়ে প্রবেশ করেন এবং চীনের কুনমিংয়ের উদ্দেশে রওনা করেন রোগীরা। রোগীদের স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত হন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়ান ওয়েন। এসময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, চীনে বাংলাদেশের রোগীরা চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন, এটা খুবই ভালো উদ্যোগ। এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি রোগীরা খুব সহজেই চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন।
তিনি বলেন, চলতি বছর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। ফলে দুই দেশের জনগণের মধ্যে আমরা সম্পর্ক আরো বাড়াতে আগ্রহী। কুনমিংয়ে চিকিৎসা সেবা নেওয়ার মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।
চীনের রাষ্ট্রদূত জানান, মেডিকেল চেকআপ ও চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশি রোগীদের প্রথম ব্যাচ আজকে চীন যাচ্ছে। এখানে মোট ৩১ সদস্য রয়েছেন। যেখানে ১৪ জন রোগী, ৬ জন পরিবারের সদস্য, ৫ জন চিকিৎসক, ৫ এইচইউসি প্রতিনিধি এবং সাংবাদিক আছেন।
ইয়াং ওয়েন বলেন, চীন রোগীদের সক্ষমতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী একাধিক স্কিম রেখেছে। এরইমধ্যে ভিসা প্রসেস সহজ করা হয়েছে এবং চাইনিজ এয়ারলাইন্স রোগীদের সুবিধার্থে স্বল্পমূল্যে প্লেনের টিকিটের ব্যবস্থা করছে।
তিনি বলেন, চীন সরকার বাংলাদেশের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী চারটি হাসপাতাল ডেডিকেট করেছে। সবগুলো হাসপাতালে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী, উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রোগীদের মধ্যে রয়েছেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী হায়দার আলী, আইনজীবী রাকিনুল হাকিমসহ বিভিন্ন পেশায় কর্মরতরা।
হায়দার আলী বলেন, আমি অনেক জায়গায় চিকিৎসা করেছি, কিন্তু কাজ হয়নি। পশ্চিমা দেশেও চিকিৎসা করেছি। তবে শুনেছি, চীনে ভালো চিকিৎসা দেওয়া হয়, সেখানে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছি। আশা করি, ভালো চিকিৎসা পাবো।
আইনজীবী রাকিনুল হাকিম বলেন, প্রথমবারের মতো চিকিৎসা নিতে চীনে যাচ্ছি। এর আগে আমরা চিকিৎসা নিতে থাইল্যান্ড যেতাম। আশা করি, চীনে উন্নত চিকিৎসা পাবো এবং সুস্থ হয়ে ফিরবো। বাংলাদেশের আরও রোগী যাবেন এবং সুবিধা পাবেন।