১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৫শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি

প্রতিকারের পাশাপাশি কিডনি রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি জরুরি


| PNN

১৩ মার্চ, ২০২৫, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশে কিডনি রোগের আধুনিক চিকিৎসা থাকলেও তা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি কিডনি রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি খুবই জরুরি।

১৩ মার্চ ‘বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২৫’ উপলক্ষ্যে দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন। এবারের কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘আপনার কিডনি কি সুস্থ? দ্রুত শনাক্ত করুন, কিডনির স্বাস্থ্য সুরক্ষা করুন’।

প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২৫’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।

বাণীতে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের জনগণের জন্য গুণগত মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। আমার বিশ্বাস ‘বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২৫’ উদযাপন কিডনি রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

কিডনি মানবদেহে সৃষ্ট আবর্জনা নিষ্কাশনে সহায়তা করে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কিডনি রক্তের ইলেক্ট্রোলাইটের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে এবং লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

কিডনি রোগ একটি নীরব ঘাতক উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা, ২০৪০ সাল নাগাদ বিশ্বে কিডনি রোগ মানব মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশেও এ রোগীর সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর ও অনিয়ন্ত্রিত জীবন-যাপন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও ব্যথানাশক ওষুধের যথেচ্ছ ব্যবহার ও খাদ্যে ভেজালসহ বিভিন্ন কারণ এ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য দায়ী।