২৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৪ঠা মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

পজিটিভ প্যারেন্টিংয়ের জন্য করণীয়


Online Desk | PNN

২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ৬:৩১ অপরাহ্ণ

প্রত্যেক শিশুর নিজস্ব আত্মসম্মান আছে। তার নিজস্ব শক্তি ও প্রতিভা আছে। সন্তানের সঙ্গে ইতিবাচক আচরণ করলে এ বৈশিষ্ট্যগুলো আরও শক্তিশালী হয়। পিতা-মাতার নেতিবাচক আচরণ সন্তানের আত্মসম্মানবোধ কমিয়ে দিতে পারে। যারা পজিটিভ প্যারেন্টিং করতে চান, তাদের করণীয় সম্পর্কে এই আর্টিকেল।

সন্তানের প্রশংসা করুন: অভিভাবক যখন কোনো ভালো কাজের জন্য সন্তানকে প্রশংসা করেন- তখন সন্তান উৎসাহিত হয়। নেতিবাচক কাজ করলে আপনি একটু অভিমান দেখাতেই পারেন, সেক্ষেত্রে ইতিবাচক পদ্ধতিতে করবেন। এতে সন্তান নিজেই নিজের ভুল শুধরানোর কাজ করতে পারবে।

আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া জানাবেন না: সন্তান রাগের প্রকাশ করলে আবেগপ্রবণ প্রতিক্রিয়া জানাবেন না। বাচ্চা রেগে গেলে বা কোনো অপ্রয়োজনীয়, অর্থহীন কথা বললে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবেন ন। এতে সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিখবে।

দুই সন্তানের মধ্যে তুলনা করবেন না: প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে তারা এক নয়। দুই সন্তানের অভিভাবক হলে দুই সন্তানের প্রতিই সমান মনোভব পোষণ করা জরুরি। কাউকে কারও সঙ্গে তুলনা করবেন না। এতে ভেদাভেদ সৃষ্টি হতে পারে। উভয়কেই এক সমান ভালোবাসুন, সমান যত্ন নিন।

ভালো গল্প শোনান: এমন গল্প শোনান যেগুলো তাকে আনন্দে রাখবে, স্বপ্ন দেখাবে, সচেতন করবে।

ফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করুন: প্রথমে নিজে ফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করুন। ফোনে মাত্রাতিরিক্ত সময় দেবেন না। খুব প্রয়োজন না হলে, ফোনটি হাতের নাগালেও রাখবেন না। দূরে রাখুন। এতে ফোন ব্যবহার তুলনামূলক কম হবে। শিশুও সেভাবেই অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।

ঘরের কাজে শিশুকে উৎসাহ দিন:  শিশুকে তার নিজের কাজ নিজে করার জন্য উৎসাহ দিন, এবং পরিবেশ তৈরি করুন। নিজেও তার কাছে ছোট-খাটো সহযোগিতা চান। সহযোগিতা করলে উৎসাহ দিন, প্রশংসা করুন।