নারীর প্রতি সহিংসতার বিচারে দীর্ঘসূত্রিতার প্রতিবাদ ছাত্রীসংস্থার
| PNN
১২ মার্চ, ২০২৫, ১২:৪৫ অপরাহ্ণ

দেশজুড়ে নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং সহিংসতার বিপরীতে বিচারিক প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা ও প্রশাসনের ব্যর্থতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা। একইসঙ্গে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং নৃশংস হত্যা বন্ধের ব্যাপারেও অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভানেত্রী মুনজিয়ার সই করা বিবৃতিতে এমন দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে সংগঠনটির সভানেত্রী বলেন, গত ৫ মার্চ মাগুরার নিজনান্দুয়ালিতে ৮ বছরের শিশুর সঙ্গে ঘটে যাওয়া পাশবিক ঘটনা আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কলঙ্কজনক এবং মানবতার জন্য চরম অবমাননাকর। কিন্তু এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার এই ঘৃণ্য প্রবাহ থামছে না বরং প্রতিনিয়ত আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। গত ৯ মার্চ রাতে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চার মাসের অন্তঃসত্তা এক নারীও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। ১০ মার্চ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৭০ বছরের বৃদ্ধের বিরুদ্ধে তৃতীয় শ্রেণির এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়াও প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। পুরো দেশে যে অবস্থা তার সামান্যই সংবাদপত্র ও মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। বাস্তব অবস্থা আরও ভয়াবহ ও শোচনীয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা চরম উদ্বেগ, ক্ষোভ ও বেদনার সঙ্গে লক্ষ্য করছি, নারী-শিশু ধর্ষণ এবং সহিংসতার ঘটনা একটি ভয়াবহ জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়েছে। মানবতা বিবর্জিত এসব অপরাধের বিচার নিশ্চিত না হওয়ায় অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কিন্তু বারবার দেখা যাচ্ছে, বিচারহীনতা নয় তো বিচারিক প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা এবং সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণে এ ধরনের ঘটনা কমছে না বরং বাড়ছে। ধর্ষক ও নারী শিশু নির্যাতনকারীদের প্রতি কোনো প্রকার সহানুভূতি বা শিথিলতা দেখানোর সুযোগ নেই। তাই আমরা সরকার ও প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি- ধর্ষকদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে।
আইনের কঠোর প্রয়োগ দাবি করে তিনি বলেন, নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কঠোর আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পরিবার ও সমাজের প্রতিটি স্তরে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক নৈতিক মূল্যবোধ ও ইসলামি আদর্শের চর্চা বাড়াতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের নৈতিক অবক্ষয় রোধ করা যায়।
একইসঙ্গে দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং নৃশংস হত্যা বন্ধের ব্যাপারে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবিও বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।