থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে হটাৎ বেড়েছে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার
| PNN
১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২:৪৬ অপরাহ্ণ

গত দুই মাস ধরে ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে খরচ ছিল ৪০ কোটি টাকা, যা নভেম্বরে ছিল ৪৭ কোটি টাকা এবং অক্টোবরে ছিল ৫৩ কোটি টাকা।
ভারতে এই ব্যবহারের হ্রাসের কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারতে সীমিত ভিসা প্রদান এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বাংলাদেশি পর্যটক ও রোগীদের সংখ্যা কমে গেছে। ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানোর ঘটনা দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে নতুন করে সমস্যা তৈরি করেছে, ফলে দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ করেছে। বর্তমানে ভারতীয় হাইকমিশন থেকে হাতে গোনা কিছু ভিসা পাওয়া যাচ্ছে, আর এটি বাংলাদেশের জন্য চিকিৎসা এবং ভ্রমণসহ অন্যান্য উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের হ্রাসের মধ্যে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ডিসেম্বরে ভারতে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড খরচ ছিল মোট ১৯.৯৫ শতাংশ, যা চলতি বছরের একই মাসে কমে ৮.১৩ শতাংশে নেমে এসেছে। যদিও ভারতে খরচ কমেছে, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে বাড়তি প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে।
২০২৩ সালের মার্চ থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত, ভারত ছিল বিদেশে বাংলাদেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী দেশগুলির মধ্যে শীর্ষে। তবে জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে, বাংলাদেশিরা চিকিৎসা এবং ভ্রমণের জন্য থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়াকে বেশি বেছে নিচ্ছে। থাইল্যান্ডে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের পরিমাণ নভেম্বরে ছিল ৪৬ কোটি টাকা, যা ডিসেম্বরে বেড়ে ৬৪ কোটি টাকা হয়েছে। সিঙ্গাপুরে একই সময়ে বাংলাদেশিদের খরচ ছিল ৩৮ কোটি টাকা, ডিসেম্বরে তা বেড়ে ৪১ কোটি টাকা হয়েছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বেড়েছে ১৫.১১%। ডিসেম্বর মাসে দেশের ভেতরে ৩,২১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে, যা নভেম্বরে ছিল ২,৭৯৩ কোটি টাকা। একইভাবে, বিদেশে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৪৯১ কোটি টাকা, নভেম্বরে যা ছিল ৪৩১ কোটি টাকা।
শেষত, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক চিত্রে এই পরিবর্তন প্রমাণ করে যে, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে নতুন ধারা দেখা যাচ্ছে, যার প্রভাব বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক প্রবাহে পড়ছে।