টিকিট চেয়েও পাননি যাত্রী, আসন ফাঁকা নিয়েই উড়ল বিমান
Online Desk | PNN
১ জুন, ২০২৪, ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকিট নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এক নারী চিকিৎসক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আজ শুক্রবার বিমানের সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বিজি-৬০১ ফ্লাইটে ওই নারীর সিলেট আসার কথা। তিনি নিজের টিকিট আগেই কেটে রেখেছিলেন। তবে আরেকটি টিকিট জরুরী হওয়ায় অনলাইনে টিকিট কাটতে গিয়ে দেখেন ‘সোল্ড আউট’।
তিনি শাহজালাল বিমানবন্দরের কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটতে চেয়েছিলেন। সেখানেও পাননি। পরে বিমানে উঠে দেখেন ১০টি সিট ফাঁকা রয়েছে। এসব তুলে ধরে ডা. অরকাতুল জান্নাত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন।
নিজের ফেসবুক আইডিতে তাঁর দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি ডা. অরকাতুল জান্নাত লিখেছেন, ‘সিলেটের পথে বিমান বাংলাদেশের ৩১/৫/২০২৪ এর সকাল ১০: ৫০ এর BG 601 ফ্লাইটে আরেকটি টিকেটের খুব জরুরি প্রয়োজন ছিল শেষ মুহূর্তে (আমার টিকেট আগেই কাটা ছিল)। অনলাইনে সোল্ড আউট দেখে এয়ারপোর্টের কাউন্টারে এসে টিকেট কাটতে চেয়েছি ৯: ২০ এ। মুখের উপর টিকেট নাই বলে দিলেন। আরেকবার রিকুয়েস্ট করার পরেও বললেন ফুল ফ্লাইট বুকড। প্লেনে উঠে দেখি ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেকগুলো সিট ফাঁকা, বোর্ডিং কমপ্লিটেড মানে আর কোনো যাত্রী বাকি নেই। ৭৪ সিটের বিমানে প্যাসেন্জার সংখ্যা ৬৪ জন+ ১ জন বেবি। মনে অসংখ্যবার প্রশ্ন জেগেছে বাকি ১০টা খালি সিট কাদের জন্যে রাখা হলো?
বিমান বাংলাদেশ আমাদের, বাংলাদেশের জনগনের আর সেকারণেই লিখা। রাস্ট্রের নিজস্ব এই ফ্লাইং ক্যারিয়ার যেটার লোকসানের কথা প্রায়ই শোনা যায় সেটার দায় আসলে কাদের?
বিঃদ্রঃ ১১:২৫ এও কিন্তু প্লেন ছাড়ে নি। আমি বিমান অথোরিটির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি আশা করি উনারা বিষয়টি দেখবেন।’
মুহূর্তেই তাঁর পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। বেলা ১টায় দেওয়া পোস্টে রাত ৯টা পর্যন্ত ৭ হাজার ১০০ জন লাইক-রিয়্যাক্ট দিয়েছেন। মন্তব্য করেছেন হাজারো জন এবং শেয়ার করেছেন ১ হাজার ১০০ জন।
পোস্ট দেওয়ার তিন ঘণ্টা পর মন্তব্যের ঘরে ডা. অরকাতুল জান্নাত লিখেন, ‘বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, আপনাদের দ্রুত রিপ্লাইয়ের জন্যে ধন্যবাদ। আমাদের পতাকাবাহী জাতীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আমাদের ১৬ কোটি মানুষের আর দেশে ও বিদেশে ট্রাভেলের জন্যে আমাদের আস্থার জায়গা। বিমান সম্পর্কে নেতিবাচকতা ছড়ানোর কোনো প্রশ্নই ওঠেনা। কারণ বিভিন্ন সময়ে টুকটাক ভোগান্তি সত্ত্বেও গত ২০ বছর ধরে দেশ-বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিমানকেই সবার আগে বেছে নেই যাতে দেশের টাকা দেশে থাকে। আজকে জরুরি মুহূর্তে টিকেট না পাওয়া, বিমানে উঠে ১০টা সিট খালি দেখে মনে প্রশ্ন জেগেছে আর সেটাই আমি লিখেছি। কোনো ধরনের নেতিবাচক কথা কিন্তু আমি লিখিনি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. অরকাতুল জান্নাতের অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ফাঁকা যে ১০টি সিট তিনি দেখেছেন, সেগুলো বুকিং করা ছিল। এই ১০ জন প্যাসেঞ্জার নো-শো হইছে। উনারা টিকিট করেও আসেননি। এটা সবাইকে বুঝাতে হবে।’ অনেকেই বিষয়টি না বুঝে অভিযোগ করেন বলেও জানান বিমানের এই মহাব্যবস্থাপক।