১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই রমজান, ১৪৪৬ হিজরি

এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন যারা


| PNN

৩ মার্চ, ২০২৫, ২:১০ অপরাহ্ণ

রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পদক স্বাধীনতা পুরস্কার এবার ব্যতিক্রমী হতে যাচ্ছে। বিতর্কিত কেউ এ পুরস্কার পাচ্ছেন না। শিল্প, সাহিত্য, সমাজসেবাসহ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য প্রকৃত কয়েকজন গুণী ব্যক্তিত্ব এবার পাচ্ছেন স্বাধীনতা পুরস্কার। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, একুশে পদক নিয়ে আপনারা যেমন খুশি হয়েছেন, তেমনি স্বাধীনতা পুরস্কার নিয়েও খুশি হবেন আশা করি।

খোঁজ নিয়ে আমরা জানতে পেরেছি, এবার বেশ কয়েকজন গুণী ব্যক্তিত্ব মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। জানা গেছে, জীবিতদের মধ্যে এ পুরস্কার পেতে যাচ্ছেন ইতিহাসবিদ ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস রচনায় পথিকৃৎ, লেখক বুদ্ধিজীবী বদরুদ্দীন উমর। মরণোত্তর গুণীজনদের মধ্যে পেতে যাচ্ছেন কবি আল মাহমুদ, বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জামাল নজরুল ইসলাম, ব্রাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ, আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পী নভেরা আহমেদ (কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অন্যতম নকশাকার) এবং ফেসবুকে ফেনী নদীর পানির বিষয়ে বাংলাদেশের স্বার্থের পক্ষে পোস্ট দেওয়ার কারণে ছাত্রলীগের হাতে নির্মম হত্যার শিকার বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এ সংখ্যা ১০ জনের নিচে হবে।

এদিকে গতকাল রোববার স্বাধীনতা পদক প্রদান সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন জনের প্রস্তাব ও আবেদন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এবার ব্যতিক্রমী কিছু মানুষ স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। কমিটি কিছু নাম সুপারিশ করেছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রধান উপদেষ্টার কাছে তা পাঠানো হবে। দেশের জন্য অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর ব্যতিক্রমী কিছু ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কতজন পাবেন এবং কারা পাবেন, সে বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা কিছু বলেননি।

এ সময় আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, আগে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে দলগত ও গোষ্ঠীগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। আগের সরকারের আমলে র‌্যাব’র মতো বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানকেও দেশের সর্বোচ্চ এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।

স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা পদকের প্রবর্তন করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে প্রতি বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে এই পদক প্রদান করা হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে পাঁচ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৫০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।