আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগ নেতাদের ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা তরুণী
| PNN
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৫২ অপরাহ্ণ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রলীগের নেতাদের ধর্ষণের শিকার এক ছাত্রী বিচার চেয়ে সমন্বয়কদের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন। ওই ছাত্রী বলেন, গত ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চাষাঢ়া গোলচত্বর থেকে ছাত্রলীগের নেতারা আমাকে তুলে নিয়ে যায়। তারা ২০-২৫ জন ছিল। তারা আমাকে টেনেহিঁচড়ে মারতে মারতে তোলারাম কলেজের পাশে তাদের একটি অফিসে নিয়ে যায়। তারা আমার ফোন কেড়ে নেয়, অনেক বাজে কথা শোনায় এবং গালি দেয়।একপর্যায়ে সবাই অফিস থেকে চলে যায় শুধু দুজন থাকে। সে দুজন আমাকে ধর্ষণ করে।
শনিবার ২২ ফেব্রুয়ারি শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের সম্মুখ ভূমিকা নিয়ে ছবি ও তথ্যচিত্রের আর্কাইভ প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া ওই ছাত্রী। তার দাবি, এই ঘটনা সমন্বয়ক থেকে শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রায় সবাই জানত। অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার মেলেনি। কেউ গুরুত্ব সহকারে দেখেনি বিষয়টি। যে দুই লোক ধর্ষণ করেছে তারা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের কোনো শাস্তি হয়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, আমি যখন সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা আপুকে বিষয়টি জানাই তিনি বলেন, তোমার সাথে অনেক খারাপ হয়েছে। তারপর এ বিষয়টা ক্লোজ করে দেন।আমি যখন বিষয়টি সমন্বয়ক নুসরাত তাবাচ্ছুম আপুকে জানাই তিনি বলেন, তুই আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে নক দিস। পরে তাকে নক দিলে তিনি মেসেজ সিন করেননি, অভিযোগ ওই ছাত্রীর। তার দাবি, সারজিস প্রথম থেকেই বিষয়টি জানতেন। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে তাদের শাস্তির আওতায় আনারও আশ্বাস দেন। কিন্তু কিছুই করেননি।
ওই শিক্ষার্থী জানান, নভেম্বরের ১০ তারিখে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন। ৩১ ডিসেম্বর তার গর্ভপাত হয়।